শ্রীচৈতন্যবাণী-শ্রবণেই চেতনময়ী সেবার উন্মেষ
শ্রীচৈতন্যবাণী-শ্রবণেই চেতনময়ী সেবার উন্মেষ
—পরমহংস জগদগুরু শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর; ‘শ্রীল প্রভুপাদের বক্তৃতাবলী’ হইতে সংগৃহীত
চৈতন্যচন্দ্রের কৃপার কথা যাঁহার কর্ণে যে-পরিমাণে প্রবিষ্ট হইয়াছে, তিনি সেই-পরিমাণে চৈতন্যের সেবায় প্রলুব্ধ হইয়াছেন। যিনি পূর্ণভাবে সেই পরিপূর্ণচেতন- বিগ্রহের কথা শ্রবণ করিয়াছেন, তিনি তাঁহার সেবায় পূর্ণভাবে নিজকে উৎসর্গ করিয়াছেন। শ্রীচৈতন্যচন্দ্র ষোল- কলা-বিশিষ্ট পরিপূর্ণ বস্তু; সুতরাং তাঁহার চেতনময়ী কথা জীবের হৃদয়ে প্রবিষ্ট হইলে জীবকে তাঁহার পাদপদ্মে ষোল-আনা আকৃষ্ট করিবেই করিবে। যিনি আংশিকভাবে তাঁহার কথা শ্রবণ করিয়াছেন, তিনি শ্রীচৈতন্যের পাদপদ্মে আংশিকভাবে নিজকে প্রদান করিয়াছেন।
যতদিন-পর্য্যন্ত না মানবগণ দেহ, গেহ, পুত্র, কলত্র ও কায়মনোবাক্যাদি সর্ব্বস্বদ্বারা নিষ্কপটভাবে শ্রীচৈতন্যচন্দ্রের নিরন্তর সেবায় উন্মত্ত হইয়াছেন, ততদিন-পর্য্যন্ত তাঁহাদের শ্রীচৈতন্যের কথা ষোল-আনা শ্রবণ করা হয় নাই, জানিতে হইবে।
-
যেষাং স এব ভগবান্ দয়য়েদনন্তঃ
সর্ব্বাত্মনাশ্রিতপদো যদি নির্ব্যলীকম্।
তে দুস্তরামতিতরন্তি চ দেবমায়াং
নৈষাং মমাহমিতিধীঃ শ্ব-শৃগাল-ভক্ষ্যে ॥”
(ভাঃ ২।৭।৪২)
Comments