top of page

মানবজাতির দুর্দশা ও তন্মোচনের উপায়

মানবজাতির দুর্দশা ও তন্মোচনের উপায়


—শ্রীশ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর পরমহংস জগদ্গুরু শ্রীল প্রভুপাদ


আবার, ভিন্নপথাবলম্বিগণ চৈতন্যদেবের কথা আলোচনা না করার ফলে–প্রকৃত চৈতন্যভক্তের নিকট নিরপেক্ষভাবে চৈতন্যদেবের কথা না শুনার ফলে, নানা-প্রকার মনোধর্ম্মের পন্থায় অনুরক্ত হইয়াছেন। চৈতন্যদেবের বাণী কর্ণে না পৌঁছিবার ফলেই কতকগুলি লোক নানা-প্রকার নবীন কল্পিত কুপথে-বিপথে গমন করিয়াছেন ও করিতেছেন। প্রকৃত চৈতন্যানুগত ব্যক্তির প্রকৃষ্ট সঙ্গপ্রভাবে যদি শ্রীচৈতন্যদেবের কথা- শ্রীচৈতন্যদেবের ভক্তিসিদ্ধান্তবাণী কোনদিন তাঁহাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করিত, তাহা হইলে এরূপভাবে অন্যপথে গমনপূর্বক পরম-দুর্ভাগ্য- বরণ আমরা তাঁহাদিগের ভাগ্যে দেখিতে পাইতাম না। চৈতন্য-দেবের অপ্রকটের পর বিভিন্নধর্মপন্থীর উদয় হইয়াছে ও হইতেছে। ঐসকল ধৰ্ম্মপন্থী মনে করেন, চৈতন্যদেব অপেক্ষাও তাঁহাদের প্রতি জগতের বহির্মুখ লোকের অধিক আদর হইবে; কারণ, তাঁহারা লোকের মনোধর্ম্মের অনুকূল ইন্দ্রিয়তৃপ্তিকর সিদ্ধান্তদ্বারা লোকের চিত্ত রঞ্জন করিতে সমর্থ। কিন্তু একমাত্র শ্রীচৈতন্যদেবের কথাতেই জগতের বিভিন্নধর্ম্মস্রোতের পরস্পর বিবদমান ভাবসমূহ বিদূরিত হইতে পারে,- মহাবদান্য শ্রীচৈতন্যদেবের অমন্দোদয় দয়াতেই জগতে জীবের সর্ব্ববিধ অশুভ বিনষ্ট হইয়া পরশান্তি-লাভ হইতে পারে।

Comments


bottom of page