বৈষ্ণবের ক্রোধ ও শ্রাদ্ধ-কৃত্যের স্বরূপ
বৈষ্ণবের ক্রোধ ও শ্রাদ্ধ-কৃত্যের স্বরূপ
শ্রীশ্রীগুরু-গৌরাঙ্গৌ জয়তঃ
শ্রীগৌড়ীয়মঠ, কলিকাতা
১১ই মে ১৯২৩
[ভগবদ্ভক্তের ক্রোধই ভজন তৎপরতা– কর্মজড়স্মার্তশ্রাদ্ধ ও সাত্বতশ্রাদ্ধ]
স্নেহবিগ্রহেষু—
আপনার কার্ড পাইয়া সমাচার জ্ঞাত হইলাম। ইন্দ্রিয়-তর্পণের বাধা হইলে যে বৃত্তির উদয় হয়, তাহাই ক্রোধ। ভক্তগণ সর্বক্ষণ কৃষ্ণেন্দ্রিয়- তর্পণে ব্যস্ত। তাঁহাদিগকে তাঁহাদের সেবাকার্য্যে বাধা দিতে গেলে বাধাদাতাকে 'ভক্তদ্বেষী' বলা যায়। সুতরাং ভক্তদ্বেষীর প্রতি ক্রোধের বৃত্তি ভজনের প্রকার ভেদ মাত্র। তাদৃশ ভজনবৃত্তিকে যাহারা সাধারণ ক্রোধের সহিত সমজ্ঞান করে, তাহারা নারকী। ভোগপর ইন্দ্রিয়তৃপ্তির ব্যাঘাত সঙ্গ করিবার শক্তি ভক্তের আছে। সুতরাং তিনি নিজের ভোগের অতৃপ্তিতে সহিষ্ণু। কিন্তু কৃষ্ণ- সেবার বাধাদাতার প্রতি ক্রুদ্ধ হওয়ায় ভজন-তৎপর।
বৈষ্ণব গৃহস্থই হউন বা ত্যক্তগৃহই হউন, তাঁহার কোনও অশৌচ বা শোক নাই। হরিসেবা করিলেই পিতৃশ্রাদ্ধ ও তর্পণাদি সমাধা হয়। স্বতন্ত্রভাবে শ্রাদ্ধ তর্পণাদি করিতে হয় না। তবে লোক-ব্যবহারের জন্য গৃহস্থ বৈষ্ণবগণ হরিনাম-গ্রহণ-জনিত নিত্য শুচি হইয়া যে কোনও দিন মহাপ্রসাদের দ্বারা শ্রাদ্ধ করিতে পারেন-তাহাই বৈষ্ণবশ্রাদ্ধ। শ্রীমান্ * * * * প্রভুকেও আমার স্নেহাশীর্ব্বাদ জানাইবেন। :: :: ইতি
নিত্যাশীর্ব্বাদক
শ্রীসিদ্ধান্তসরস্বতী
תגובות