top of page
Search

চেতনার জাগরণ? নাকি সমালোচনার জবাব? (শাস্ত্রী জীর কি শাস্তি হওয়া উচিত— তাহা পরম নিরপেক্ষ শ্রীমন্নিত্যানন্দ বলরামই বিচার করবেন।) - পর্ব্ব-১

  • Writer: The Symbol of Faith
    The Symbol of Faith
  • 14 hours ago
  • 5 min read

Updated: 9 hours ago


শ্রীশ্রীগুরু-গৌরাঙ্গৌ জয়তঃ


চেতনার জাগরণ? নাকি সমালোচনার জবাব? 

(শাস্ত্রী জীর কি শাস্তি হওয়া উচিত— তাহা পরম নিরপেক্ষ শ্রীমন্নিত্যানন্দ বলরামই বিচার করবেন।)


গৌড়ীয় গোষ্ঠীপতি শ্রীশ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর প্রভুপাদ পরমহংস জগৎগুরু জানিয়েছেন যে,—

"ঐ সমুদয় আলোচনাকারীর ভূমিকাই বিবাদের কারণ (অর্থাৎ ঐরূপ অবৈধ সমালোচনার মূল) তাঁ'রা এক ভূমিকা হ'তে অন্যভূমিকার বিচার করতে প্রবৃত্ত হওয়ায় ঐরূপ অকৃত কার্য্য হ'তে বাধ্য হন। এখান থেকে (প্রত্যক্ষ জড় ভূমিকা হতে) যাত্রা করার দরুন তাঁদের বিচরে ভ্রম উপস্থিত হয়। এই জন্যে শ্রৌত পথে এই সকল অভিজ্ঞতাবাদের ছলনাময় ধারণাও কল্পনা স্বীকৃত হয় না। শ্রৌত পথের বিচার-সূর্য্যরশ্মির সাহায্যে সূর্য্য দর্শন করতে হ'বে।” শ্রীল প্রভুপাদ তাঁর এক লেখনীতে স্পষ্ট উল্লেখ করেন যে— "ফুলে মধুজন্মে, ভ্রমর তাহা প্রকাশ করে; আবার বিষও জন্মে, লুতাকীট তাহা প্রকাশ করিয়া দেয়। হয়ত সংসারে বিষের সংমিশ্রনভিন্ন কেবল মধুর স্থান নাই। লুতাকীটেরও জন সমাজে একটী স্থান আছে, নচেৎ মধু উদ্ধার হয় না। অবশ্য লুতাকীটের অপেক্ষা সংসারে ভ্রমরের আদর অধিক; কারণ, সাধারণে ভ্রমরের নিকটেই মধুপ্রাপ্ত হয়; কিন্তু ভ্রমরের নিকট লুতাকীটের আদর নাই। কারণ, লুতাকীটের সাহায্যে ভ্রমরকে মধু সংগ্রহে অধিক আয়াস স্বীকার করিতে হয় না। অতএব লুতাকীট ভ্রমরের শত্রু নহে। তা-না হইলেও মধ্যে মধ্যে উহাদের মধ্যে বিবাদ ঘটে। কারণ মধুরূপ মাদকে ভ্রমরের সময়ে সময়ে যে উন্মত্ততা হয়, তাহা ভ্রমর না বুঝিতে পারে; কিন্তু লুতাকীটের সে অপেক্ষা নহে। কারণ, বিষ ভোগের নহে, ত্যাগের। সাবধানে বিষত্যাগ করাই লুতাকীটের কার্য্য। তদ্রুপ উন্নত ব্যক্তি আক্রান্ত হন, জগতে উপকার ক'রেও অযথা নিন্দিত হন। শ্রীমন্মহাপ্রভু আদেশ করলেন— তরুরন্যায় সহ্যগুণ সম্পন্ন হ'তে হ'বে।"


পূর্ব্ব-পূর্ব্ব মহাজনগণও নিরপেক্ষ ভাবে সকলের জন্য পরম পরোপকারের চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করিয়াও তীব্র সমালোচনার উত্তরদায়ী (দায় ভাগ) হইয়াছেন, সেক্ষেত্রে এই 'সমালোচনা' ব্যতিরেক ভাবে বড়ই প্রশংসার দাবী অবশ্যই রাখে, কারণ উহা প্রমাণ করে যে ঐ গ্রন্থের মর্য্যাদা বা গুরুত্ব কতখানি বিশাল উচ্চ। বিনা খরচে বিনা প্রয়াসে এত 'অত্যদ্ভুত গম্ভীর প্রচার প্রসার'-একি কম কথা! পুনঃ পুনঃ ক্ষমাপ্রার্থী, এবং অপরাধ গ্রহণ করিবেন না এই বিশ্বাস মুখে সদ্‌ উত্তর রাখিতে প্রয়াসি হইতে হইল।


আমাদের উদ্দেশ্য নয় আপনাদের অপমানে বা সমালোচনায় ক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া, কারণ অবুঝ শিশু বাপকেও লাথি মারে, তাতে কি বাপের জাত যায় কি?


আপনাদের সম্মানে আমরা শ্রীগৌড়ীয় মঠের পক্ষ থেকে একের পর এক সদুত্তর দিয়ে যাব (বা দিয়ে আসছি এতকাল যাবৎ), কিন্তু ঐ সকল পরম নিরপেক্ষ সত্য সিদ্ধান্ত বিচার ধৈর্য্যের সঙ্গে শুনে যাবার এবং হজম করার যোগ্যতা হবে কি ( আছে কি)? শপথপূর্ব্বক বলতে চাই যে,— আপনাদের পরম মঙ্গল বিধানই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য,— অন্য কিছুই নয়।


     • বাঞ্ছারামের বাঞ্ছাপূর্ত্তি—


গৌড়ীয় গোষ্ঠীপতি শ্রীশ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর প্রভুপাদ পরমহংস জগদ্গুরু জানিয়েছেন যে,— “আত্মবিদগণের নিকট যাহাদের সেবা বৃত্তির উন্মেষ হয় নাই তাদের সঙ্গ যতই প্রীতিপ্রদ হউক না কেন, তাহা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।”

রাবণ– সীতা দেবীকে অপহরণ করিলে সাত কান্ড রামায়ণ উদিত হয়। যদি ওকে বল মাত্র ছায়া-সীতা হরণে রাবণ এর অধিকার হইয়াছিল, তথাপি কেহই রাবণকে ক্ষমা করেন নাই। চরম দাম্ভিকতাই তার বিনাশের কারণ হইয়াছিল। শ্রীগৌড়ীয় বাণীরূপ চৈতন্য সরস্বতীর অপহরণে তৎপর রাবণের বিচার কোন ‘রাম’ করিবেন? সেই হল-মুষলধারী সাক্ষাৎ বলরামই ঐ সকল অপরাধের বিচার করিয়া থাকেন। ‘কেনারাম’ বা ‘বেচারাম’ গোষ্ঠীর লোক ‘বাঞ্ছারামই’ বটে (সর্ব্বদা নিজ নিজ বাঞ্ছাপুর্ত্তিতেই ব্যস্ত), কিন্তু ‘দয়ারাম’ গোষ্ঠীর লোক ‘বাঞ্ছারামের’ অসৎ প্রবৃত্তির মূল উৎপাদনকল্পে সদাই অপ্রাকৃত অহৈতুকী দয়া প্রদর্শন করেন কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, এই সৎ-প্রচেষ্টাকে শত্রুতা জ্ঞান করিয়া অকারনে ‘হাঁদারাম’ গোষ্ঠী অকাল মৃত্যুরূপ জ্ঞানশূন্য দশা (আত্মনাশ) বরণ করে।

‘দয়ারাম’ গোষ্ঠীর (বৈষ্ণবগাণের) অযাচিত দয়ায় প্রকৃতপক্ষে হৃদয়ে লুক্কায়িত দৈত্ত্য-দানব বিনাশ করিতে সক্ষম কিন্তু তথাকথিত বৈষ্ণব সমাজ ঠুঁটো (অকর্ম্মন্য) বটে, কারণ তাদিগের কৃত্তিম (কপট) দয়ায় ভবাটবিতেই ভিড় জমিতে বাধ্য,– কোন সুরাহাই পাওয়া সম্ভব নয়। একথা ধ্রুব সত্য যে,– হাঁদারাম গোষ্ঠী সর্ব্বদাই গঙ্গারাম গোষ্ঠীর সহিত মিত্রতা স্থাপন করে কারণ সৎসঙ্গের বাস্তব অর্থই তাহারা বোঝে না। “সাধু সঙ্গে কৃষ্ণনাম এইমাত্র চাই। সংসার জিনিতে আর কোন বস্তু নাই॥”— এই শাস্ত্র বাক্য তাহাদের জন্য নিরর্থক। যেক্ষেত্রে কোনরূপ কাণ্ডজ্ঞানেরই উন্মেষ দেখা যায় না, সেক্ষেত্রে দিব্যজ্ঞান তাহারা কোথায় পাইবেন! একথা ধ্রুবসত্য– নয় কি? শ্রীল প্রভুপাদ বলেন যে,— “ধর্ম্মধ্বজীগণের ধর্ম্মাচরণ বদ্ধজীবকে আরও অধিকতর বদ্ধদশায় লইয়া যায়।” শ্রীল প্রভুপাদ প্রায়শঃ উল্লেখ করিতেন যে,—


রাজা পশ্যতি কর্ণাভ্যাম ধীয়া পশ্যন্তি পন্ডিতাঃ।

পশবঃ পশ্যতি ঘ্রানেন ভূতে পশ্যন্তি বর্ব্বরা॥ 


হে শাস্ত্রী জী! এখন আমাদের প্রশ্ন এই যে,— আপনি এক্ষেত্রে কোন দার্শনিক বিচার নিয়ে শ্রীগৌড়ীয় মঠকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান?

শ্রীল প্রভুপাদ বলেন যে,— শ্রীকৃষ্ণ সেবা জড় দেহ-মনের কার্য্য নয়, অপ্রাকৃত দেহ-মনের দ্বারা আপ্রাকৃত কৃষ্ণের সেবা সম্ভব।

জাতরতি সাধকের উদ্দেশ্যেই শ্রীমন্মহাপ্রভু শ্রীল রঘুনাথ দাস গোস্বামী কে নিমিত্ত করে বলেছিলেন,—


“বাহ্য অন্তর ইহার দুই ত সাধন।

বাহ্য সাধক দেহে করে শ্রবণ-কীর্ত্তন॥

মনে নিজ সিদ্ধদেহ করিয়া ভাবন।

রাত্রি দিন করে ব্রজে কৃষ্ণের সেবন॥” (শ্রীচৈঃ চঃ মঃ ২২| )


অন্তশ্চিন্তিত সিদ্ধদেহে অষ্টকালীন শ্রীকৃষ্ণের সেবা চিন্তার যে উপদেশ শ্রীমন্মহাপ্রভু দিলেন, নিজের অধিকার বিচার না করে অনেকেই এইরূপ সাধনে প্রবৃত্ত হচ্ছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে এই সিদ্ধ দেহের যে চিন্তা তা অপ্রাকৃত। সাধক উপযুক্ত পাত্র হয়েছে, অর্থাৎ জাতরতি ভূমিকায় উন্নীত হয়েছেন জেনে স্বরূপ-শক্তি গুরুদেবের হৃদয়ে ও শিষ্যের হৃদয়ে যে সিদ্ধদেহের প্রেরণা দেন তাকেই অন্তশ্চিন্তিত বলা হয়। এবং তা অপ্রাকৃত। ঐ আপ্রাকৃত সিদ্ধ দেহের চিন্তা করতে করতেই জাতরতি সাধক সাধনের সিদ্ধি লাভ করতে পারে। এটার অন্যথা হলে পতন অনিবার্য্য। নিজের মনে মনে একটা প্রাকৃত দেহের কল্পনা করে চিন্তা অভ্যাস করলে এই কাল্পনিক প্রাকৃত দেহ কদাপি অপ্রাকৃত হয়ে যাবে না, বরং প্রাকৃতকে অপ্রাকৃত রূপে অযথা কল্পনা করার ফলে দম্ভ বৃদ্ধি হয়ে পতনই সার হবে। “বিক্রীড়িতং ব্রজবধূভিরিদঞ্চ বিষ্ণোঃ……….. অচিরেন ধীরঃ॥” (শ্রীভাঃ ১০|৩৩|৩৯) শ্লোকের টিকায় শ্রীল জীবপাদ শ্রীভক্তিসন্ধর্ভ এর ৩৩৮ তম অনুচ্ছেদে নিম্ন বিচার উল্লেখ করেছেন, যথা—

“কিন্তু রহস্য লীলা তু পৌরুষবিকার বদিন্দ্রিয়ৈঃ পিত্রপুত্র দাসভীবৈশ্চ নোপাস্য– স্বীয় ভাববিরোধাৎ ।” অর্থাৎ ব্রজবধুগণের সহ শ্রীকৃষ্ণের যে সমস্ত মধুরাত্মক লীলা, তা মানবসুলভ ইন্দ্রিয় বিকারযুক্ত ব্যক্তিগণের ও পিতা, পুত্র ও দাস ভাবাশ্রিত ব্যক্তিগণের উপাসনার যোগ্য নয়, যেহেতু তা স্বীয় ভাবের বিরোধী। সুতরাং রজস্তমোগুনোত্থ প্রাকৃত কাম প্রবৃত্তি প্রবল থাকাকালে এইরূপ প্রাকৃত মনের দ্বারা এই অপ্রাকৃত মধুর রসাত্মক লীলাচিন্তা সম্ভব নয়। অতএব প্রাকৃত রজস্তমোগুনাক্রান্ত মনধর্ম্মী জীবের পক্ষে ক্রমপন্থায় যাওয়াই উচিত, নাচেৎ অধঃপতন অনিবার্য্য।

   জাতরতি ভূমিকা থেকে ভক্তি সাধন আরম্ভ হয়। অজাতরতি ভূমিকাই কর্ম্ম ভূমিকা বা জড় কামময় ভূমিকা। শাস্ত্রে ভক্তি সম্বন্ধে যেসব উপদেশ দেওয়া হয়েছে, তা এই জাতরতি সাধকের নিমিত্তই। কিন্তু তা না বুঝে অজাতরতি কর্ম্মাধিকারী সাধক, ভক্তির অনুকরণ করলে অহংকারগ্রস্ত হয়ে অচিরেই বিপথগামী হবেই। স্বভাববিহিত পন্থাই মঙ্গলকর। স্বভাব বিহিত অধিকার উলঙ্ঘন করে রাগমার্গীয় ভক্তিযাজনের অভিনয় করলে কদাপি সুফল লাভ হবে না।

শ্রীমদ্ভাগবত ১০|৩৩|৩৯ লোকের বাহ্যবিচার এবং নিগুড় রহস্যময় বিচার প্রসঙ্গ সমেত শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তীপাদ মহাশয়ের টিকার বাহ্য প্রতারণাময় উপলব্ধির ভিত্তিতে প্রাকৃত সহজীয়াগণের দ্বারা শ্রীগৌড়ীয় মাঠের অষপ্রাকৃত গৌরব গর্হণের গগনভেদি গাধার ন্যায় চিৎকার– গগনে মুষ্টাঘাতের ফলমাত্র দিতে পারে, অন্য কিছুই নয়।


বিক্রীড়িতং ব্রজবধূভিরিদঞ্চ বিষ্ণোঃ শ্রদ্ধাম্বিতোহনুশৃণুয়াদথ বর্ণয়েদ্যঃ।

ভক্তিং পরাং ভগবতি প্রতিলভ্য কামং হৃদ্রোগমাশ্বপহিনোত্যচিরেণ ধীরঃ॥ (শ্রীভাঃ ১০|৩৩|৩৯)


(শ্রীভগবানের কাম-বিজয় রূপ রাসলীলা শ্রবণের ফল কি হতে পারে?)

হে রাজন! ভগবান শ্রীবিষ্ণুর (কৃষ্ণের) ব্রজবধুগণ সহ এই অপ্রাকৃত ক্রীড়া, যে ব্যক্তি শ্রদ্ধান্বিত (‘শ্রদ্ধা’ শব্দে কহে সুদৃঢ় নিশ্চয়) হয়ে শ্রবণ অথবা বর্ণনা করেন, তিনি ভগবানে পরমা ভক্তি লাভ করে অচিরকাল মধ্যে, সেই ধীর জন অপ্রাকৃত সুখানুভূতি পেয়ে হৃদয়ে কামরূপ (প্রাকৃত কাম) রোগ আশু চিরতরে পরিত্যাগ করতে পারেন॥ শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তীপাদ মহাশয়ের টীকা বিচারেও একথাই কষ্ট দেখা যায়, যথা,— ‘ভক্তি লাভ করে’— এই অসমাপিকা ক্রিয়ার পূর্ব্বে অবস্থান হেতু– এক্ষেত্রে দেখা যায় যে,– হৃদ্রোগ অর্থাৎ প্রাকৃত কামাদি থাকা সত্ত্বেও প্রথমে ভক্তি লাভ হয়, তারপর কামারি পরিত্যাগ বলা হয়েছে। তা’দের (সাধক গণের) কদাচিত আমাদের অস্তিত্ব থাকলেও কোনো অমঙ্গল বা পতনের সম্ভাবনা থাকে না।

এক্ষেত্রে ‘কদাচিৎ’ শব্দের বাস্তব অর্থ বোধের বিশেষ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শ্রীগীতা উপদেশে—


অপি চেৎ সুদুরাচারো ভজতে মামনন্যভাক্ ।

সাধুরেব স মন্তব্যঃ সম্যগ্ ব্যবসিতো হি সঃ ॥ (গীতা ৯|৩০)


এই শ্লোকের টিকায় শ্রীল জীবপাদ শ্রীভক্তি সন্ধর্ভ ৩১২ তম অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছেন যে,— ভাগবত প্রীণকারী ব্যক্তি শাস্ত্র নিষিদ্ধ পাপকর্ম্মে সাধারণতঃ প্রবৃত্তি হয় না। কারণ শ্রীভগবানের সুখানুসন্ধানে লক্ষ্য থাকায় মুক্তি সুখে পর্য্যন্ত তাঁর বাঞ্ছা থাকে না, সুতরাং পরম ঘৃণ্য বিকর্ম্মানন্দেই বা তা’র রুচি হবে কিরূপে ? অতএব তা’র স্বতঃ সেই বিকরমে প্রবৃত্তি হয় না। যদি অনবধানতাবশতঃ দৈবাৎ তার পাপকর্ম্মে প্রবৃত্তি হয়, তবে তৎক্ষণাৎ অন্তর্য্যামী হরি তা’কে রক্ষা করেন। সে শীঘ্রই তা থেকে নিবৃত্ত হয়ে যায়। কারণ সে জানে যে, শাস্ত্র নিষিদ্ধ পাপ করলে শ্রীহরি সন্তুষ্ট হয় না। কর্ত্তব্য কর্ম্মের বিধান ও অকর্ত্তব্য কর্ম্মের নিষেধ যদি বৈষ্ণব শাস্ত্রোক্ত বিধান হয়, সেক্ষেত্রে শ্রীহরির সন্তোষই একমাত্র প্রয়োজন বলে জানা যায়। তখন শ্রীভগবানের সুখানুসন্ধানকারী ব্যক্তির স্বতঃ সেই আদিষ্টকরমে প্রবৃত্তি ও নিষিদ্ধকর্ম্মে অপ্রবৃত্তি হয়; কারণ শ্রীহরির সন্তোষ বিধানে তাঁর প্রতি প্রীতির জীবন, অর্থাৎ— তৎ সন্তোষৈক জীবন ত্বাৎ প্রীতি জাতেঃ।”

এটাই অনন্যভজনকারীজন সম্বন্ধে শ্রীল জীবপাদের উক্তি।


শ্রীগুরু-বৈষ্ণব-ভগবানের কৃপাবলে ক্রমশঃ প্রকাশ্য….


 
 
 

Comments


পরম্ বিজয়তে শ্রী কৃষ্ণ সংকীর্ত্তনম্

  • Instagram
  • Facebook
  • Youtube
  • Whatsapp
  • Telegram
  • Dribbble
  • TikTok

@২০২৪ চেতনার জাগরণ - এর দ্বারা

bottom of page